মোবাইল নেবার আগে একটু কোম্পানি প্রোমোটোর দের কাছ থেকে জেনে নিই

***স্মার্টফোন কেনার আগে যে তথ্যগুলো জেনে নেওয়া জরুরি***
$$$$$$$$$$ স্মার্টফোন কেনার গাইডলাইন $$$$$$$$$$
*****************[সংশোধিত পুনঃ পোস্ট]********************
[[[পোস্ট= ১৯৬]]] _(মেগা পোস্ট) ফটো পোস্টে বিস্তারিত লেখা হয়েছে। পোস্ট টি সুবিধামতো সময়ে পড়তে চাইলে আপনার ফেসবুক ওয়্যালে শেয়ার করে রাখুন। সংরক্ষণ করতে চাইলে ফটো পেস্ট Download করুন লিংক কমেন্টে দেয়া হবে।
স্মার্টফোন কী এবং কেনো?
স্মার্টফোন একটি বিশেষ ধরনের মোবাইল ফোন, যা মোবাইল কমপিউটিং প্লাটফর্মের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমে চলে। ফিচার ফোনের তুলনায় অত্যাধুনিক কমপিউটিং সুবিধা ও কানেক্টিভিটিসম্পন্ন এ ফোনটিতে ইন্টারনেট, মাল্টিমিডিয়া ও টাচস্ক্রিন সুবিধা থাকায় ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। একটি সাধারণ মোবাইলের সাথে পার্সোনাল ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট (পিডিএ) সুবিধা যুক্ত করে বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোনটি বের করা হয়। পরে এর সাথে যুক্ত হয়েছে পোর্টেবল মিডিয়া প্লেয়ার, নিম্মমানের কমপ্যাক্ট ডিজিটাল ক্যামেরা, পকেট ভিডিও ক্যামেরা ও জিপিএস সুবিধা। বর্তমানে বেশিরভাগ স্মার্টফোনেই হাই রেজ্যুলেশন টাচস্ক্রিন ও মোবাইল উপযোগী ওয়েব ব্রাউজার রয়েছে। মোবাইল ব্রডব্যান্ড ও ওয়াই-ফাই সুবিধার মাধ্যমে উচ্চগতির ডাটা অ্যাক্সেস সুবিধা রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দৈনন্দিন জীবনের সব চাহিদা একটি মাত্র ডিভাইসের মাধ্যমে মেটানোর সুবিধা দিতে মোবাইল অ্যাপ মার্কেট ও মোবাইল ই-কমার্স গড়ে উঠেছে।
এখন স্মার্টফোনের যুগ বললে খুব বেশি বাড়িয়ে বলা হবে না। এ ডিভাইস যেন মোবাইল ফোনের ধারণাই বদলে দিয়েছে। শুধু কথা বলা নয়, বিশ্বকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে ইন্টারনেট ও অ্যাপসসহ নানান প্রযুক্তি সুবিধা। নানাবিধ সুবিধা থাকার কারনে এর বিক্রি বেড়ে চলেছে ক্রমাগত ভাবে। প্রযুক্তির সর্বশেষ এই সংস্করণ প্রযুক্তিপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রে অবস্থান করছে। হাল ফ্যাশন এর তরুণদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আপনার কম্পিউটারের অনেক কাজও এতে করা যায়। একে কম্পিউটারের মোবাইল সংস্করণও বলা যায়। স্মার্টফোনে মুভি দেখা, হাই ডেফিনেশন গেইমস খেলা, ভিডিও ও ইমেজ এডিটিং, ক্যামেরা, মাইক্রোসফট অফিস – কি নেই! বেশ কিছু অর্থ খরচ করে শখের জিনিসটি কিনতে গেলে নানা দোটানায় পড়তে হয়। এটা ভালো হবে তো, নাকি ওটা? এমন আরো অনেক প্রশ্ন। এ যুগে অতিপ্রিয় মোবাইল ফোনসেট কেনার সময় তো চিন্তার শেষ নেই। তাই আপনাদের মস্তিষ্কের চাপ কিছুটা কমিয়ে দিতে মোবাইল ফোনসেট কেনার টিপস গুলো দেয়া হলো। আসুন জেনে নেয়া যাক কি কি বিষয় স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণঃ
০১.*****ডিজাইন(Design): ডিজাইন নিয়ে একটু চিন্তা করুন স্মার্ট ফোনের ক্ষেত্রে ডিজাইনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে আবার নাও হতে পারে কেউ পারফরমেন্স ভালো চান কেউ ডিজাইন । এ বিষয়ে কারো কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার কিছু নেই। এটা একান্ত নিজের রুচির ব্যাপার।
০২.*****ওজন এবং অনুভূতি(Weight and Feeling): মোবাইল ফোনসেটের এ বৈশিষ্ট্য নিয়ে কেউ তেমন মাথা ঘামায় না। মোবাইল ফোন বেশিরভাগ সময় পকেটে রাখা হয়। তাই এটি যত বেশি হালকা হয় ততো ভালো। তবে বড় আকারের হলে ওজন বাড়ে। ক্রেতার কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে বেশি ওজনের ফোন কেনা উচিত।
০৩.*****মোবাইল নেটওয়ার্ক (Network): স্মার্টফোনের নেটওয়ার্ক কানেকশন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কথা বলা সে অডিও হোক বা ভিডিও এছাড়া ডাটা কানেকশনের গতি নির্ভর করে এর ওপর। মোবাইল নেটওয়ার্ক বর্তমানে 2G,3G,4G,5G নেটওয়ার্ক বিভিন্ন দেশে চলমান।
1G = analog
2G = digital, voice
2.5G added data (GPRS)
2.75G faster data (EDGE)
3G = digital, supported data, packet switched (WCDMA, EvDO)
3.5G faster data (HSPA)
4G = wireless broadband
(most people say this is LTE, some people are waiting for an upgrade to LTE-A)
5G = not yet defined (Super wireless broadband )
Much faster. Likely to be real ~2020 by Samsung. মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ে পরবর্তিতে বিস্তারিত পোস্ট করা হবে।
০৪.*****প্রসেসর (Processor): স্মার্টফোনের প্রধান ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল প্রসেসর। প্রসেসর আপনার স্মার্টফোনের মূল অংশ গুলোর একটা। তাই স্মার্টফোন কেনার আগে জেনে নিন আপনার পচ্ছন্দের স্মার্টফোনের প্রসেসর সম্পর্কে। অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে যে প্রসেসরের ক্লক স্পীড-ই আসল। ক্লক স্পীড গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটি প্রধান নিয়ামক নয়। প্রসেসরের ভার্সন-ই আসল। তাই স্মার্টফোনের কেনার আগে জেনে নিন প্রসেসর এর ভার্সন কত। চেষ্টা করুন ARMv7 বা তার পরবর্তী Model এর প্রসেসর সমৃদ্ধ স্মার্টফোন কিনতে। কারন ARMv7 পূর্ববর্তী Model এর প্রসেসরগুলো অনেক অ্যাপলিকেশন,গেমস্ বিশেষ করে ফ্ল্যাশ সাপোর্ট করে না ফলে আপনার স্মার্টফোনের মূল মজাটাই নষ্ট হয়ে যাবে। যেমন Samsung Galaxy Y, Galaxy pocket, Galaxy Ace ইত্যাদি মোবাইলে ক্লক স্পীড বেশী থাকলেও এই ফোনগুলোর ARM ভার্সন হল 6 তাই এই ফোনগুলো অনেক আপ্লিকেশন বিশেষ করে ফ্ল্যাশ ভিত্তিক কিছুই চলে না। আর যাদের আর্থিক সামর্থ্য আছে তারা ডুয়েল-কোর(dual-core) বা কোয়ার্ট-কোর(Quad-core) প্রসসর সমৃদ্ধ স্মার্টফোন কিনতে পারেন।
০৫.*****র্যাম ও রম (RAM &ROM): স্মার্টফোনের আরেকটি অপরিহার্য অংশ হল RAM এর ক্ষমতা। র্যাম মূলত কাজের গতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। RAM যত বেশী হবে কাজের performance আর স্পীড দুইই বাড়বে। তাই কেনার আগে RAM কত তা দেখে নিন। ফোন কিনতে বেশ কিছু অর্থ ব্যয় করে 1GB RAM যথেষ্ট। রম হচ্ছে স্মার্টফোনের ইন্টারনাল মেমরি। অনেক সময় দেখা যায় যে ইন্টারনাল মেমোরি ৮ জিবি হলেও ইউজেবল থাকে ৫ জিবি কিংবা ৪ জিবি বাকিটা অপারেটিং সিস্টেমের দখলে থাকে।
০৬.*****মেমোরি(Memory): স্মার্টফোন কেনার আগে দেখে নিন মেমোরির সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা কত।স্মার্টফোনের মেমোরি দুই ধরনের হয়ঃ
১)Phone memory/internal memory
২)Card slot/External memory
প্রায় সব স্মার্টফোনে মেমোরি কার্ড লাগানো গেলেও দেখে নিন সর্বোচ্চ কত পর্যন্ত তা সাপোর্ট করে বিশেষ করে internal memory কত তা জেনে নিন।
০৭.*****ডিসপ্লে(Display): আপনি যে ফোনটি কিনবেন তা কি শুধু কল রিসিভ করার জন্য । অর্থাৎ আমরা অনেকই একের অধিক ফোন ব্যবহার করে থাকি যার মধ্যে একটি শুধু কল রিসিভ করার জন্য ব্যবহার থাকি । সেরকম হলে আপনি নরমাল ডিসপ্লের কম দামের ফোন কিনতে পারেন । আপনি টাকাও বাচাতে পারবেন এবং ব্যাটারির স্থায়ীত্বও পাবেন লম্বা সময় । আপনি যদি মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করেন আপনার দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে বা অনলাইনের কাজে তাহলে আপনি ভাল ডিসপ্লে সম্পন্ন একটা ফোন কিনতে পারেন ।আপনাকে মনে রাখতে হবে ফোনের ডিসপ্লে সাইজের প্রতি কারন আপনার ডিসপ্লে যত বড় ব্যাটারি চার্জ তত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে। যদি আপনার বাজেট বেশি হয়ে থাকে তাহলে ব্র্যান্ডেট কিছু ফোন আছে যা অনেক বড় স্ক্রীন নিয়েও অনেক লম্বা সময় ব্যাটারি চার্জ সঞ্চয় রাখতে পারে। অনেকেই আছে যাদের বাইরে কাজ করতে হয় । যেমন একজন প্রজেক্ট ম্যানেজার বা সাইট ইঞ্জিনিয়ার যখন মোবাইল বা স্মার্ট ফোন কিনবেন অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন ডিসপ্লেটি সানলাইট সাপোর্টেড হয়। প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ডিসপ্লে। বর্তমানে ৩" থেকে শুরু করে ৬" মাপের স্মার্টফোন ও বাজারে পাওয়া যায়। যদি টাচস্ক্রীন স্মার্টফোন নেন সে ক্ষাত্রে চেষ্টা করবেন ডিসপ্লের আকার যেন ৩.৫ ইঞ্চি বা তার বেশী হয়। কারণ এতে ব্যবহার অনেক বেশী আরামদায়ক এবং দেখতেও সুবিধা। তবে সহজে বহন করতে চাইলে ছোট পর্দার মোবাইল নেওয়া উচিত। একই সাথে কিছু বিষয় খেয়াল রাখবেন যেমন রেজু্লেশন (উদাহরণ-720p-1080pHD-UHD-4K) সাধারণ মানের মোবাইলের ডিসপ্লে ৭২০পি-এর কম হয়ে থাকে, পিক্সেল পার ইঞ্চি(PPI),কালার ইত্যাদি। আর টাচস্ক্রীন যেন অবশই capacitive হয়। কারণ Resistative স্ক্রীন ব্যবহারে খুব অসুবিধাজনক যা আপনাকেই সমস্যায় ফেলবে। স্মার্টফোন শক্তপোক্ত কতটা তা জরুরি বিষয়। তা ছাড়া পর্দাতে সহজে দাগ যেন না পড়ে সে জন্য স্ক্র্যাচ রেজিস্ট্যান্ট গ্লাস রয়েছে অনেক ফোনে গরিলা গ্লাস, ড্রাগন ট্রাইল গ্লাস এ ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহার হয়। হাত থেকে পড়ে গেলেই ভেঙে বা ফেটে যাবে না, অন্তত তেমন তো হতে হবে ফোনটিকে।
০৮.*****গ্রাফিক্স প্রসেসর ইউনিট(GPU): অনেকেই গ্রাফিক্স প্রসেসর ইউনিট(GPU) সম্পর্কে অবহিত নয় অথচ এটি ছাড়া আপনি হাই গ্রাফিক্স এর কোন গেমস খেলতে পারবেন না বা হাই গ্রাফিক্স প্রগামে কাজ করতে পারবেন না। HD Video দেখতেও এটির প্রয়োজন এছাড়া থিম এবং লানচারেও এর প্রয়োজন এরকম অনেক ক্ষেত্রে GPU কাজ করে। অনেক সেট এ বিল্ট-ইন GPU থাকলেও তার পারফরমেন্সে অত ভাল না যেমনঃ Samsung Galaxy Y, Galaxy Pocket, Galaxy Ace ইত্যাদি।
০৯.*****সেন্সর(Sensor): স্মার্টফোনের স্মার্টনেস অনেকাংশে এর সেন্সরগুলোর ওপর নির্ভর করে। বর্তমান সকল স্মার্টফোনে বিভিন্নও ধরনের সেন্সর থাকে যা দ্বারা আপনি স্মার্টফোনের পূর্ণাঙ্গ সুবিধা ভোগ করবেন। প্রয়োজনীয় সেন্সরগুলো হলঃ
(১) Accelerometer Sensor(3D)
(২) Gyroscope Sensor
(৩) Proximity Sensor
(৪)Magnetic fild Sensor
(৫)Gravity Sensor
(৬)Light Sensor
(৭)Pressure Sensor(Barometer)
(৮)Orientation Sensor
(৯)Hall Sensor
(১০)Temperature Sensor(Thermometer)
***GPS(Global Positioning System) জিপিএসের পুরো অর্থ হলো গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম। পুরো নামটা দেখলেই বোঝা যায় এর ধারণাটা কত ব্যাপক। স্মার্টফোনে যদি জিপিএস থাকে, তাহলে সে দেখিয়ে দেবে ব্যবহারকারী পৃথিবীর কোন জায়গায় স্মার্টফোনটি নিয়ে অবস্থান করছেন।
Hygrometer, Lightmeter, G-Sensor, Air gesture(Hand Motion), Heartbeats sensor, Linear acceleration , Rotation vector, Corrected Gyroscope, Double Click wakeup, Smart Gesture, Smart intelligence, Eye contact সহ এরকম আরো কিছু সেন্সর আছে এসব সেন্সর নিয়ে অন্য একদিন পোস্ট করবো।
সেট এর মডেল অনুযায়ী সেন্সর এর সংখ্যা কম বেশী হতে পারে। তবে আপনাকে নুন্যতম (১), (৩), (৬) নং সেন্সর যুক্ত স্মার্টফোন কিনতে হবে অথবা আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কিনতে পারেন।
১০.*****অপারেটিং সিস্টেম (OS): স্মার্টফোনের আরেকটি অসাধারণ বৈশিষ্ট্য হল এর অপারেটিং সিস্টেম। কম্পিউটারের মত প্রত্যেক স্মার্টফোন এর রয়েছে একটি নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে যেমনঃ
১) Android
২) iOS(শুধু Apple এর জন্য)
৩) Windows
৪) RIM(শুধু Black Berry এর জন্য)
৫) Symbian
৬) Firefox
তবে বিভিন্ন সুবিধার অ্যাপস ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে উপযোগী হলো অ্যান্ড্রয়িড, আইওএস এবং উইন্ডোজ ফোন অপারেটিং সিস্টেম। Android অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম লিন্যাক্স এর ক্ষুদ্র সংষ্ক্রন। তবে অপারেটিং সিস্টেম যাই হোক চেষ্টা করবেন সবচেয়ে নতুন সংস্করনে চলে এমন সেট নেওয়ার, অন্তত যাতে সর্বশেষ ভার্সনটি update করা যায়।
১১.*****সফটওয়্যার আপডেট রাখা (Software Update) : ফোনের সফটওয়্যার প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে কি? আপনিও যদি নিজের ফোনের সফটওয়্যারগুলো নিয়মিত আপডেট রাখেন তাহলে যন্ত্রটি সুন্দরমতো কাজ করবে। নয়তো নানা ভেজাল করবে যেকোনো কাজ করতে। নতুন কোনো অ্যাপস সাপোর্ট করবে না এবং ফোনটি ধীরগতির হয়ে যাবে। কিছু Apps ব্যবহার করতে গেলে ফোন রুট (Root) করতে হয় অভিঙ্গ না হলে ফোন রুট করবেন না এছাড়া ওয়ারেন্টির আওতায় থাকলে যদি রুট করেন আর আনরুট করতে না পারেন তাহলে ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাবে। সবথেকে ভালো হয় সার্ভিস সেন্টার থেকে রুট করে নেয়া তাতে ওয়ারেন্টির সমস্যা হয় না। পপুলার রিভিউ ও রেটিং সাইট ব্যবহার করুন ইন্টারনেট থাকলে নানা সাইটে ঢুঁ মারতেই হয়। তবে ভাইরাস, ম্যালওয়্যারের ইত্যাদির আক্রমণ থেকে বাঁচতে পপুলার রিভিউ ও রেটিং সাইটে ঘোরাফেরা করবেন। নইলে বিপদ। প্রয়োজনে এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন।
১২.*****ক্যামেরা (Camera): আপনার ফোনের সাথে একটি ভাল মানের ক্যামেরা থাকা একটি গুরুত্তপূর্ণ বিষয় । আপনি সব সময় DSLR নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন তা অনেকটাই অসম্ভব । তাই আপনি ফোন কেনার আগে আপনার ফোনের ক্যামেরা মান সম্পর্কে একটু যাচাই করে দেখতে পারেন । তবে মেগা পিক্সেল দেখে ফোন কেনার জন্য লাফানোর প্রয়োজন নেই । কারন শুধু মেগা পিক্সেল দিয়ে আপনার ছবির গুণাগুণ বোঝতে পারবেন না । ক্যামেরা ফোন কেনার আগে আপনি নিশ্চয়ই জানতে চান ফোনের মেগা পিক্সেল কত। মোবাইল ফোন নির্মাতা কোম্পানি গুলো তাদের বিক্রয় বাড়ানোর জন্য এই উপায় অবলম্বন করে থাকে । মেগা পিক্সেল আপনাকে জানতে সাহায্য করবে কি পরিমাণ পিক্সেল আপনি ছবিতে পেতে পারেন । ছোট লেন্স দিয়ে যখন বেশি মেগা পিক্সেলের ছবি তোলা হয় তখন দেখা যায় নয়েজ অনেক বেশি থাকে । তাই ৩২ মেগা পিক্সেল মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে কখনো DSLR এর মত ছবি তোলার স্বপ্ন দেখবেন না কারণ DSLR মেগা পিক্সেল ও লেন্সের মধ্যে খুব ভাল একটা সম্পর্কে রেখে বানানো হয় । কাজেই মোবাইল ফোন কেনার সময় আপনার ক্যামেরা কোয়ালিটি প্রেকটিকেলি যাচাই করে দেখুন । আর আপনি যদি সেলফি ভক্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরা কোয়ালিটি দেখে নিতে পারেন তাতে ক্লিয়ার ভিডিও কলও করতে পারবেন। উল্লেখ্য বর্তমানে মোবাইল ফোন ফটোগ্রাফী বেশ জনপ্রিয় । তাছাড়া যেকোন অসাধারণ মুহূর্ত যখন তখন আপনার ক্যামেরা বন্দী করতে একটা ভাল মানের ফোন ক্যামেরা অত্যন্ত জরুরী ।বাঙালি ক্যামেরা বলতে মেগা পিক্সেলকে বুঝলেও এটি ক্যামেরার প্রধান দিক নয়।
১৩.*****ব্যাটারি (Battery): স্মার্টফোনের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ব্যাটারি।অনেক সময় ব্যাটারির মিলি এম্পিয়ার বেশি থাকা সত্ত্বেও ফোনের ব্যাটারি খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। তাই স্মার্টফোন কেনার পূর্বেই নিশ্চিত হয়ে নিন যে ব্যাটারিটি অন্তত এক থেকে দেড় দিন ব্যাকআপ দেয়। নতুবা আপনাকে প্রতিদিন অন্তত ২ থেকে ৩ বার ফোনে চার্জ দিতে হবে যা খুবই বিরক্তিকর একটি ব্যাপার হয়ে দাড়াবে। ব্যাটারির শক্তি নির্ধারিত হয় মোবাইল ফোনটি কেমন তার ওপর ভিত্তি করে। তবে বড় মাপের স্ক্রিনের মোবাইল বেশি ব্যাটারি শক্তি ক্ষয় করে। তাই শক্তিশালী ব্যাটারি প্রয়োজন হবে মোবাইলটি অনেক সময় ধরে চালু রাখার জন্য। এখন ৩০০০ এম.এ.এইচ বা তারচেয়ে বেশি শক্তির ব্যাটারি হিসেবে বাজারে চালু রয়েছে। স্মার্টফোন কেনার সময় খেয়াল রাখবেন ব্যাটারির mAh যেনও বেশী হয় কারণ ব্যাটারির যত mAh বেশী হবে চার্জ তত বেশী থাকবে। এছাড়া ব্যাটারির চার্জ ঘাটতি ঠেকাতে পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করতে পারেন যা বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।
এদিকে ২০১৪ সালে স্মার্টফোনের ব্যাটারি পরিস্থিতিতে কিছুটা পরিবর্তন আসবে। ২০১৪ সালে স্মার্টফোন কোন কোন ফিচার নিয়ে আসবে তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছে অনেকদিন ধরে। ঘুরে ফিরে আলট্রা এইচডি ডিসপ্লে, রেটিনা স্ক্যানার কিংবা নমনীয় পর্দা – এই সকল ফিচারকেই ধরে নেয়া হচ্ছে আগামী দিনের স্মার্টফোনের বৈশিষ্ট্য। তবে স্যামসাং সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে সোলার সেল যুক্ত স্মার্টফোন বাজারে আনার। স্যামসাং এর এই সিদ্ধান্ত অমূলক নয়।। কিছুদিন থেকে শোনা যাচ্ছে স্যামসাং এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপল সফল হয়েছে সোলার সেল দিয়ে ভবিষ্যৎ স্মার্টফোন চার্জ করার সফল প্রযুক্তি উদ্ভাবনে। স্যামসাংও তাই আর দেরি না করে সচেষ্ট হয়েছে একই পন্থা অবলম্বনে। যদিও স্যামসাং এখন অধিক সময় ব্যয় করছে উন্নত প্রযুক্তির ডিসপ্লে নিয়ে, এবার হয়ত তারা কিছুটা মনোযোগ দেবে এই দিকে। আর অ্যাপল এবং স্যামসাং উভয়ই যদি সোলার সেল সহ স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে আসে, হয়ত ভবিষ্যতে স্মার্টফোন কেনার আগে র্যাম এবং প্রসেসর এর সাথে দেখে নিতে হবে ফোনে সোলার সেল আছে কিনা।
১৪.*****কীপ্যাড (Keypad): ফোন কেনার আগে শোরুম গুলো তে একটু ঘুরে দেখুন কোন ফোনের Keypad কি রকম । যেমন ব্ল্যাক বেরী স্মার্ট ফোনটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগলেও এর কী প্যাড আপনার পছন্দ নাও হতে পারে কারণ এখানে প্রতিটি অ্যালফাবেটের জন্য আছে একটি করে বাটন । আপনি যদি চায়না টাচ স্মার্ট ফোন বা মোবাইল কিনেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই চেক করে দেখতে হবে এর স্ক্রীন টাচ অপশন গুলো কিভাবে কাজ করছে। যেমন কিছু চায়না টাচ স্ক্রীন ফোন আছে যা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি স্পর্শ কাতর । এই ধরণের কী প্যাড আপনার জন্য বি্রক্তির কারন হতে পারে । তাই কী প্যাড চেক করে নিতে ভুলবেন না ।
১৫.*****দাম (Price): এটা একটা আসল বিষয়। এমনিতেই মোবাইল ফোনসেটের দাম যত বেশি হবে, তার সবকিছুই তত ভালো হবে কিন্তু উপরোক্ত সব ফিচার একসাথে নাও পেতে পারেন। তবে মোবাইল ফোনসেট কেনার আগে একই মডেলের অন্য কোনো সংস্করণ খুব শিগগিরই বাজারে আসলে তা থেকে কোনো সুবিধে পান কি না ভেবে নিতে হবে।স্মার্টফোনের দাম ব্র্যান্ডভেদে এখন প্রায় ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত। কন্ট্রাক্ট ফোন নেয়ার জন্য ইউরোপ-আমেরিকাতে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিভিন্ন শর্তের ভিত্তিতে মোবাইল ফোনসেট কেনার ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের দেশেও অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো এমন অফার দিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে বেশি সুবিধা দিচ্ছে এবং মোবাইলগুলোর মডেলের সঙ্গে দাম ও সুবিধাগুলোর তুলনা করে নিজের পছন্দ অনুযায়ী কিনবেন। যারা জনপ্রিয় এবং সহজ সেট চালাতে চান, যেমন আইফোন, তাদের কাছে দাম কোন বিষয়ই নয় বরং তা সামাজিক সম্মানেরও বিষয়, তবে অন্যদিকে সেটা বাজেট ছাড়িয়ে যেতে পারে। যদি আপনি চান কাজের পাশাপাশি হাতে দেখানোর মত একটি সেট, তবে অবশ্যই আপনার বাজেট বাড়াতে হবে। আর যদি আপনি সল্প বাজেটে নিতে চান একটি স্মার্টফোন, তবে ভাবতে হবে উপরের বিষয়গুলো এবং পাশাপাশি বাজার ঘুরে বেছে নিতে হবে আপনার কাজের চাহিদা অনুযায়ী ফোন। টাকা দিয়ে কিনবেন, সুতরাং জিজ্ঞাসা করুন বিক্রেতাকে মনে যত প্রশ্ন আসে, পাশাপাশি নিজেও দেখে নিন। বাজারে যেহেতু নানা ধরণের এবং নানা দামের মোবাইল সেট পাওয় যায় তাই একটু সময় নিয়ে কয়েক দোকান ঘুরে ঘুরেই ফোন কেনা উচিত। এছাড়া আর কয়েক বছরের মাঝেই হয়তো টু- জি সেট এর ব্যবহার কমে যাবে তাই থ্রী জি নেটওয়ার্ক দেখেই কেনা উচিত বাকি টা উপরে দেয়া আছে।
১৬.*****অন্যান্য কিছু বিষয় Others: এ সকল বিষয় ছাড়াও আরও কিছু বিষয় আপনার খেয়াল রাখা উচিত আর তা হলঃ
*****SAR value যেন কোন ভাবে ২ এর বেশী না হয়।এর বেশী হলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এটা হলো রেডিয়েশন এর মাত্রা যা অনেক সময় প্যাকে অথবা গাইড বইয়ে দেয়া থাকে।
-সাউন্ড সিস্টেম এর মান(SRS Amplifier, Beats audio ইত্যাদি)
-MicroUSB, Bluetooth Version , Wi-Fi Speed, WLAN Hotspot, OTA(over-the-ai
r), OTG(USB On-The-Go), NFC(Near field communication), Infrared ইত্যাদি।
*****কম টাকায় স্মার্টফোন কেনার আগে জেনে নিন*****
==============================
====
স্মার্টফোনের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে কম দামের বা স্বল্প বাজেটের ফোনের চাহিদাও বাড়ছে। একই সঙ্গে বাজারে মিলছেও নানা ব্র্যান্ডের সস্তা স্মার্টফোন। বলা চলে বাজার দখল করে রেখেছে এসব ফোন। কিন্তু সস্তার দুরবস্থাও রয়েছে। এটাও মাথায় রাখতে হবে। অনেকে টাকা বাঁচাতে বা বাজেট কম থাকায় স্বল্প দামের এসব স্মার্টফোন কিনতে আগ্রহী হন। কিন্তু সস্তার সব ফোন ভালো নাও হতে পারে। কেননা কেনার কয়েক মাসের মধ্যে সেটিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিংবা অন্য কোনো বিভ্রাট দেখা দিতে পারে। তখন বিপাকে পড়তে হয়। তাই স্বল্প মূল্যের স্মার্টফোন কেনার আগে কয়েকটি কৌশল বা বিষয় জানা দরকার। জরুরি এসব বিষয়ই এখানে তুলে ধরা হল।
মোবাইল হ্যান্ডসেট
স্বল্প দামের স্মার্টফোনগুলোর ফিচার দেখে লোভনীয় মনে হতে পারে। ফলে ফিচার দেখে অনেক ব্যবহারকারী ভুলে যায় স্মার্টফোনটির র্যাম ও ইন্টারনাল মেমোরির কথা।
বেশিরভাগ কমদামি ফোনের র্যাম ৫১৫ মেগাবাইট এবং ইন্টারনাল মেমোরি ৪ গিগাবাইট। তবে স্টোরেজ সুবিধার জন্য ব্যবহার করা যাবে মাত্র ২ গিগাবাইট।
কম দামের স্মার্টফোন মানেই দামের সঙ্গে প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও আপস করতে হবে। সাধারণত পার্থক্যটা চোখে পড়ে স্ক্রিন রেজ্যুলেশন, প্রসেসর টাইপ ও স্পিড, র্যাম, ক্যামেরার গুণগত মান এবং ব্যাটারি ব্যাক-আপে। তাই ফোন কেনার সময় এগুলোর দিকে একটু খেয়াল রাখতে হবে। আর কনফিগারেশনে যা লেখা থাকে অনেকংশ তা ফোনটির সঙ্গে নাও মিলতে পারে।
সস্তা অনেক ফোনে ডিরেক্ট ওয়াইফাই ও ব্লু-টুথের নতুন ভার্সন ৪.০ পাওয়া যায় না। তাই এ ধরনের স্মার্টফোন কেনার সময় ফিচারগুলো ভালো করে দেখে নেয়া উচিত। স্বল্প দামের স্মার্টফোনে সাধারণত প্রাথমিক বা এন্ট্রি লেভেলের হার্ডওয়্যার ব্যবহার করা হয়। তাই প্রথমেই তা খতিয়ে দেখে নিতে হবে। প্রসেসর, র্যাম ও মেমরি কার্ড নষ্ট হলে তা পাল্টানো কিংবা এগুলো যোগ করে ক্ষমতা বাড়ানোর সুবিধা আছে কিনা, তা দেখে নিতে হবে। এছাডাও ডিসপ্লে সাইজ, রেজ্যুলেশন, কানেক্টিভিটি অপশন, ব্যাটারির ক্ষমতা সম্পর্কে অবহিত হওয়া উচিত। স্মার্টফোন কেনার আগে সব সময় অপারেটিং সিস্টেমের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। সর্বশেষ অপারেটিং সিস্টেমে আপডেট করা যাবে কিনা, তা খেয়াল রাখতে হবে। একই সঙ্গে প্রি-ইনস্টল অ্যাপ বা থার্ড পার্টি অ্যাপ ফোনের মধ্যে থাকে। এগুলো অযথা জায়গা দখল করে থাকে। অনেক সময় এগুলো আনইনস্টল করলেই ফোনের ওপর প্রভাব পড়বে। তাই এ বিষয়টিও কেনার আগেই খতিয়ে দেখে নেয়া উচিত। গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, তা হলো ওয়ারেন্টি। বেশিরভাগ স্মার্টফোনেই ওয়ারেন্টি থাকে এক বছরের। এটি নিশ্চিত হতে হবে। একই সঙ্গে কাছাকাছি সার্ভিস সেন্টারের খোঁজ নিতে হবে। কেননা কাছাকাছি সেন্টার না থাকলে সেবা পাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। তাই সার্ভিস সেন্টার কোথায় আছে, তা খোঁজ নিয়ে স্মার্টফোন কেনা উচিত।তাই আমার মতে অল্প টাকা দিয়ে কম মানের স্মার্টফোন না কিনে কষ্ট করে আরো কিছু টাকা জোগাড় করে ভালোটাই কিনুন। সবার শেষে আশা করি আপনার প্রথম স্মার্টফোনটি হোক সেরা। আর যারা এখনও স্মার্টফোন কেনেননি বা কেনার চিন্তা করছেন না তাদের বলি “দুনিয়া স্মার্ট হচ্ছে,আপনি হচ্ছেন কবে?”
এছাড়া আপনাদের যে বিষয়ে জানার ইচ্ছা তা পেজের ইনবেক্সে জানান।
স্মার্টফোনের বর্তমান বাজারমূল্য দেখতে এই লিঙ্ক-এ
www.mobiledokan.com/ or
www.smartphonesbd.com ভিজিট করুন।
________________________

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

mobile dpi

Android device manager কাজ